1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ফের ভাঙচুর দিলীপ ঘোষের গাড়ি, বাংলার নানুরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ২২২ Time View

বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা: ফের আক্রান্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার পশ্চিমবাংলার বহরমপুরে। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধেয় কান্দির সভা শেষ করে বহরমপুর ফেরার পথে পুরন্দরপুর এলাকায় তাঁর কনভয়কে নিশানা করে হামলা চালানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাদের রাজ্য সভাপতিকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গাড়িতে ভাঙচুরও চালায়। দিলীপ ঘোষের গাড়ির ওপর ইট–পাটকেল ছোড়া হয়। পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং আরও কয়েকজন বিজেপি নেতার গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। তবে ঘটনায় তাঁরা কেউই জখম হননি।

বুধবার রাতে বহরমপুর থেকে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে ততই হিংসা ছড়াচ্ছে। তৃণমূল বুঝতে পেরে গিয়েছে, তারা আর ক্ষমতায় থাকছে না। তাই হতাশ হয়ে বিজেপি কর্মী থেকে শুরু করে নেতাদের ওপরও আক্রমণ করছে।’ এদিন সিউড়িতেও জনসভা ছিল দিলীপবাবুর। সেখানে তিনি ছিলেন যথেষ্ট আক্রমণাত্মক। তিনি বলেন, ‘বারবার বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালালে কেউ চুপ করে বসে থাকবেন না। মার খাওয়ার জন্য জন্মাননি বিজেপি কর্মীরা।’ উল্লেখ্য, এই সভায় যোগ দিতে আসার পথে নানুরে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বোমা ছোড়া হয়। এমনকী, গুলিও চালানো হয়। অভীক মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর পর পুরো নানুরেই উত্তেজনা দেখা দেয়। তার মধ্যে শিমুলিয়া মোড় ও সাঁইথিয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। একই ভাবে সাঁইথিয়ার ভ্রমরকল গ্রামেও সভামুখি বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর পর তির–ধনুক নিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঞ্চে থাকার সময়ই দিলীপ ঘোষ নানুরে হামলার খবর পান। সেই সময় তিনি বলেন, ‘আজ বোলপুরের যেখানে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, সেখানেই আমরা ফের সভা করব। সেই সভায় ৫০ হাজার মানুষ যোগ দেবেন। এর আগেও সিউড়িতে আমরা মিটিং–মিছিল করেছি। তখনও সারা জেলাতেই গাড়ি আটকে ভাঙচুর করা হত। কর্মীদের মারা হত। বারবার আমাদের কর্মীরা মার খাবেন না। এবার যোগ্য জবাব পাবে তৃণমূল।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। দলের কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘কেউ বাড়ি থেকে খালি হাতে বের হবেন না। বাঁশ নিয়ে আসবেন। মনে রাখবেন, বিজেপির কর্মীরা মার খাওয়ার জন্য জন্মায়নি। যারা গায়ে হাত দেবে, সেটাই যেন শেষ হাত দেওয়া হয়। তার পর ওই হাত দিয়ে তারা যেন আর ভাত খেতে না পারে।’ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা জবাব কলকাতা থেকে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘আমি দিলীপবাবুকে বলব মাথা ঠান্ডা রাখতে। তিনি বাংলায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তাঁর কাছে বাংলার মানুষকে দেওয়ার মতো কোনও বার্তা নেই। শুধু আছে ক্ষমতা দখলের বার্তা।’

অন্যদিকে, এদিন সকালে বীরভূমের সিউড়িতে চা চক্র কর্মসূচি ছিল দিলীপ ঘোষের। সেখানে বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। সেইজন্য পুলিশ–প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘যে জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক তৃণমূলের অফিসে বসে নির্দেশ শোনেন আর সেই অনুযায়ী কাজ করেন, তাঁদের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করবেন না। তাঁরা এখন তৃণমূল কর্মীর মতো আচরণ করছেন।’‌ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রীতিমতো কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘থানার ওসি–রা এখন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়ে গিয়েছেন। আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি হয়েছেন পুলিশ সুপাররা। পুলিশ সুপাররা তৃণমূলের কথা না শুনলে তাঁদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় এখন তৃণমূলের তাঁবেদারি করাটাই পুলিশ ও প্রশাসনের নিয়ম হয়ে গিয়েছে।’‌

দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘‌‌দিলীপ ঘোষ যে ভাবে কথা বলেন, ঠিক সেই ভাবেই কথা বলেন আমাদের রাজ্যপালও। দিলীপ ঘোষ জানেন না, বাংলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকরা সর্বভারতীয় পরিষেবা দেন। তাঁরা কেউ তৃণমূলের কার্যালয়ে বসেন না। তাঁরা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ আইএএস, আইপিএস অফিসার। তাঁরা সংবিধান মেনে চলেন। তিনি ঠিক কথা বলছেন না।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..